জল শুনতে পায় নীরবে পাতার পতন শব্দ। মানুষের ভার সয়ে যায়। পানির ফোয়ারা ধুয়ে নেয় অনির্ণেয়
কান্নার রঙ। জলের অক্ষর বিস্ময়কর, শব্দ অমিত অর্থবাহী। পানির সহজ কাব্যের দুর্মর অর্থ,
স্নানঘরে জলশব্দের নিনাদে বুঝে
যাই, নগ্ন হয়ে মানুষের দল মুখোশ ধুয়ে চলে জলের আরামে। সমস্ত শরীরের রক্ত যারা শুষে
ঘাম মেখে দেয় পুরো অঙ্গে, সেই ঘামজলের বাঁধ ঠেকাতে ধুয়ে নেয়...
খসে যাওয়া মৃত কোষের প্রস্থান তখন জলের অক্ষরে দেখতে
পাই। স্নানঘর ফেলে পোষাক পরে,
য্যানো সবাই ধর্মগ্রন্থগুলোর
মতো পবিত্র। পানির সন্নিকটেই খোঁজে পায় মানুষ বাঁচার পন্থা, বার বার কুঁড়িয়ে নেয় নতুন কৃত্রিম
স্বঅবয়ব অথবা শুন্যে মিলিয়ে যাওয়ার সহজ রাস্তা। শুধু জল জানে সমূহ পার্থিব
জীবের সমস্ত ব্যখ্যা।
বিভাগ: গদ্য কবিতা ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন