![]() |
ছবিঃ অন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত |
ইদানীং ভীষণরকম চুপ হয়ে যাই রাতে কিংবা দিনে তা অবশ্য অনিচ্ছাকৃত নিশ্চুপ। চিন্তাশূন্য নিশ্চুপ। দ্যুতিহীন অদ্ভূত এক নিরানন্দ অনুভূতি শিরায় শিরায় ঢেউয়ের মত আঁচড়ে পড়ে, মনবিচে। এখনকার সময় একইরকম অনুভূতির কারিগর। বৈচিত্র্যহীন সময় এবং রঙ দুটোই ফানসে। আকাশে মেঘের ঢেউ, আবার ফর্সা আকাশে ছোপ ছোপ শাদা মেঘের দৌড়, এক বছরের শিশুর মতো দৌড়ায়, ঠাণ্ডা মোড়ানো বাতাস, জনলার গ্রিল ধরে বুক নির্গত বাতাস ছেড়ে দিলে ভীষণ হালকা লাগে। পরিশ্রমে ক্লান্তি আনে সে অর্থে কোন ক্লান্তি নেই দেহে কিন্তু ধীরে ধীরে ক্লান্তি নিশ্চুপ থাকা মনের ভিতরে ঢুকে পড়ে। শুধু শরীর নয় মনেরও ক্লান্তি আছে, মনও হয়ে ওঠে ক্লান্তিময়। ভাবনা যদি একইরকম চিন্তা বহন করে নিয়ে আসে তাহলে মনের চাপ ক্রমাগত বেড়ে যায়, যা পরিশেষে ক্লান্তির দিকে ধাবিত হয়। একই রকম চিন্তা, ঘুরে-ঘুরে একই রকম গান অথবা বিভিন্ন চেনা-জানা পরিচিত গান, ফেসবুক, ইউটিউব, সিনেমা, শরীরের ওপর অত্যাচার, ইচ্ছাসত্ত্বেও এসব কারণে বই পড়া গেছে রসাতলে। প্রতিদিনই ইচ্ছা হয় আজ বই পড়বো, হয়ে ওঠে না আর, অলসতা আর ইন্টারনেট আসক্তি গোগ্রাসে গিলে নিচ্ছে আমার সমস্ত। এসব কিছু নিয়ে গতানুগতিক দিন আসে ফের নিভে সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে রাত নামে, পরিবর্তন যা ঘটে জগতে তা নিছক ফানসে, মনে দাগ কাটে না, কল্পনার ভিতরে সেই একই তরুণী যারে ভাবি অথচ ভাবনার খোলস থেকে তাকে পৃথক করা দুঃসাধ্য।
বেকার তরুণ-তরুণীরা কি এমনই চিন্তাশূন্য হয় ? তা আমার কোনমতেই বোধগম্য নয়। আমি বেকার ঠিকই চাকুরির পিছনেও হন্য হয়ে দৌড়াতে মন সায় দেয় না, বিস্ময়কর ! চাকরি তো আমাকে খোঁজবে না, খোঁজতে হবে আমাকে। পরিবারের অভাব যে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে এবং তীব্রতর হয়ে ওঠবে তা জেনেও মন উন্মাদ নয় কেন? নিশ্চুপ হয়ে থাকবে কেন? দৌড়ানোর গতি ছোট শিশুর পায়ের গতির মত কেন হবে ? কি চাই আমি? সমস্ত দিন যদি নিজের ভিতরের কারও সাথে কাটায় তাহলে পার্থিব জগত বলে কিছু একটা আছে তা কি টের পাওয়া যায়? নিজের সাথে নিজের কিসের কথা? প্রেমিক-প্রেমিকারাও কি নিশ্চুপ থাকে? তারাও কি নিশ্চুপে-নিশ্চুপে কথা বলতে জানে ! তাদের গল্পগুলো কেমন হয়! বড্ড শরীরময়? নাকি জাগতিক বিষয় আশয়ও ঢুকে পড়ে হুড়মুড়িয়ে ! মানুষের সাথে মানুষের সবকথাই কি অর্থপূর্ণ! জগতে সমস্ত প্রাণির আলাপন কি কার্যকর হয় তাদের জীবনে? পৃথিবীর সমস্ত প্রাণিকূলের কথাগুলো কোথায় লুকায়? প্রতিদিনই পৃথিবীর সমস্ত প্রাণিদের চিৎকার হয় এসব চিৎকার চেচামিচি, হৈ-হুল্লোড়, উচ্ছ্বাস, ঘৃণা দিনের শেষে কোথায় পরিভ্রমণ ঘটে ! মগজের চারপাশে নাকি পৃথিবীতে ঘুরতে ঘুরতে বাষ্পর মত মিলে যায় ? সমস্ত প্রাণিজগতের সবকথার অর্থ কি উদ্ধার করা সম্ভব ?
বেকার তরুণ-তরুণীরা কি এমনই চিন্তাশূন্য হয় ? তা আমার কোনমতেই বোধগম্য নয়। আমি বেকার ঠিকই চাকুরির পিছনেও হন্য হয়ে দৌড়াতে মন সায় দেয় না, বিস্ময়কর ! চাকরি তো আমাকে খোঁজবে না, খোঁজতে হবে আমাকে। পরিবারের অভাব যে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে এবং তীব্রতর হয়ে ওঠবে তা জেনেও মন উন্মাদ নয় কেন? নিশ্চুপ হয়ে থাকবে কেন? দৌড়ানোর গতি ছোট শিশুর পায়ের গতির মত কেন হবে ? কি চাই আমি? সমস্ত দিন যদি নিজের ভিতরের কারও সাথে কাটায় তাহলে পার্থিব জগত বলে কিছু একটা আছে তা কি টের পাওয়া যায়? নিজের সাথে নিজের কিসের কথা? প্রেমিক-প্রেমিকারাও কি নিশ্চুপ থাকে? তারাও কি নিশ্চুপে-নিশ্চুপে কথা বলতে জানে ! তাদের গল্পগুলো কেমন হয়! বড্ড শরীরময়? নাকি জাগতিক বিষয় আশয়ও ঢুকে পড়ে হুড়মুড়িয়ে ! মানুষের সাথে মানুষের সবকথাই কি অর্থপূর্ণ! জগতে সমস্ত প্রাণির আলাপন কি কার্যকর হয় তাদের জীবনে? পৃথিবীর সমস্ত প্রাণিকূলের কথাগুলো কোথায় লুকায়? প্রতিদিনই পৃথিবীর সমস্ত প্রাণিদের চিৎকার হয় এসব চিৎকার চেচামিচি, হৈ-হুল্লোড়, উচ্ছ্বাস, ঘৃণা দিনের শেষে কোথায় পরিভ্রমণ ঘটে ! মগজের চারপাশে নাকি পৃথিবীতে ঘুরতে ঘুরতে বাষ্পর মত মিলে যায় ? সমস্ত প্রাণিজগতের সবকথার অর্থ কি উদ্ধার করা সম্ভব ?
নিজের সবকথা যেহেতু অর্থপূর্ণ নয় তাহলে সব প্রাণিদেরও নয়, তবে কেন সমস্ত প্রাণিজগত কথার ঝঙ্কারে-ঝঙ্কারে সরব ? পরিমিত কথা এবং কার্যকরী কথা দরকার । কিন্তু সব কথা কি দরকার! অর্থহীন কথা’র প্রয়োজনীয়তা কোথায় তবে! পৃথিবীর কান কেমন করে এসব সহ্য করে রয়? সব কথাদের গন্তব্য বোধহয় এমন-
প্রাণিজগতে সমস্ত কথার শেষ গন্তব্য,নিশ্চুপের ভিতর লুকায়...!
১২.০৫.২০১৮, ঢাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন