![]() |
ছবিঃ অন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত |
দিনের গতিবিধি এখন হিসেবে রাখতে হয়। কখন সন্ধ্যা নামে, রাতের সময় অনেকটা বৃষ্টি দিনে কলাগাছের বেউলা দিয়ে মধ্যদুপুরে হৈ চৈ করার মত অতিক্রম করি এবং সকালের মুখের দিকে ফ্যাল-ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকি। আপাতদৃষ্টিতে সুখী পুরুষ বলা চলে, শরীর এখনও নতুন দেয়ালের কাঁচা রঙের গন্ধের মত, মধ্যবিত্তীয় সাজ পোষাকে বরাবরই ফিট রাখতে হয়। মাসে-মাসে পকেটশূন্য শেষ প্রান্তের দিকেও ঠোঁটে-ঠোঁটে গোল্ডলিপ ঘুরে, পিতার ঘামে ঝরা পয়সায় ঠোঁট পোড়াতে বেশ আরাম। ক্ষেত্রবিশেষে যখন মধ্যবিত্তীয় পাতা থেকে কচুপাতার জল গড়িয়ে যাওয়ার মত নিম্নবিত্তের দিকে হোচট খায় তখন ডার্বি বা হলিউড-ই শেষ ভরসা। ফলে, নিতান্তই সুখী মানুষ। প্রথমদৃষ্টিতে মানুষেরই ভাবনার ভিতরে পোষাকি আমি ঢুকে পড়ি, পড়তে বাধ্য হয়। পোষাক ঠিক করে দেয় মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে। গতকয়েকদিনে আকাশের ভারসাম্য গেছে টুটে, বড্ড বেহায়া অন্তরীক্ষ, বাউ-ুলেপনার মধ্য দিয়ে দিন আর রাতকে তল্লাশি করে চলেছে। এতে করে সৃষ্ট কারুগ্রীবার ভাঁজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে ঘূর্ণায়মান। মন্ত্রী-সচিবদের কর্ম তালিকার মত নিজস্ব তালিকা তৈরি হয়ে যায় অবচেতনে, কখন কি করবো কি খাবো কোনক্ষণে ব্যায়াম করবো। সিনেমা-বই-সিগারেট-বিছানায় গড়াগড়ি দিতে দিতে কোন এক রমণীকে সৃষ্ট কল্পনার দপর্ণে নিয়ে এসে হাঁটাই, তখন সে বাস্তবিক অর্থে জীবন্ত, বিমূর্ত, নিজের সাথে তার দ্বন্দ্বের ভিতর দিয়ে তাকে ছোঁয়ার ব্যকুল বাসনা করি, হোক সে পরিচিত অথবা অপরিচিত। গল্পের তরে তার সহিত রাত কাটাতে-কাটাতে অমোঘ ঘুম। আর মিথ্যা সান্ত¦না দিয়ে পরিবারকে আস্থা দেওয়া ছাড়া এখন আর কোন কাজ নেই। ফলে আমি সুখী, অন্তত কোন কোন বন্ধু তাই বলে, এমনও বলতে শুনেছি আমি কোন কষ্টই করি নি, আমার কোন কষ্ট নাই। এবং শিশুর মত আবেগে ঠাসা।
বৈশাখের প্রথম দিন থেকে থেমে থেমে আকাশ মেঘের দখলে, বাতাসের হুলুস্থুল নির্বোধ কর্ম-কাণ্ডে পথচারীগণ দিশেহারা হয়ে কোথাও না কোথাও ছুটছে কেউবা পূর্বপ্রস্তুতির ফলে নিজেকে সামলে নিয়ে গন্তব্যে ছুটছে। পত্রিকার পাতা দেশের কোথাও কোথাও বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যার হিসেব রাখছে। ভাড়া করা বাসার আশে-পাশে একা-একা ঘুরপাক খেয়ে গোর্থা খেয়ে ফের ঢুকে পড়ি ভাড়া করা সেলে, কারণ দিনের হিসেব রাখতে হয় কখন রাত নামবে আবার ভোর হবে। একাডেমিক পড়ালেখার ইতি টেনে চাকুরির পড়ালেখা শুরু করার বাসনা ক্রমশ ধ্বংস করছি অবশ্য এজন্য আমি দায়ী। বহুকিছু ভাবনার আদলে আমাকে ঘোরায়। চাকুরি তথা জাতীয় দাস কিংবা বেসরকারি দাসের ভিতরে অথবা শোষণ করার সুনিপুণ প্রক্রিয়ার মধ্যে-ই তো পুরো পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষ জিম্মি। কোন রাস্তায় যাবো জানি না, জানা নেই। কোন পথে গেলে এক জীবনের রাস্তাটা ফুরাবে এখনো অর্নিধারিত, পৃথিবীর অনাবিস্কৃত বস্তু-প্রাণিদের মত...
৯.৫.২০১৮, ঢাকা।
বিভাগ: আত্ম আলোচনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন