Ads

রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৯

মুখের মতন স্মৃতি


এখানে ভালো আছি দিব্যি ভালো আছি। কোন  হইচই ছাড়া, তীব্র কোলাহল ছাড়া। এখানে খুব ভালো আছি। কোন বন্ধু নেই, শাহবাগের হইচই নেই। ভীষণ একা আছি, ভালো আছি। প্রতিদিন দৌড়া্ই, তবুও আমার হাতে অনেক সময়, অনেক সময় নিয়ে সারাটা সময়জুড়ে একলা থাকি। ভীড় ভীড় করি নিজের সাথে কথা বলি যেমনটা করতাম ঢাকার জীবনে। কিছু স্মৃতি এখন বড্ড জ্বালায় এখানে, এসব যদি ইরেজার দিয়ে মুছে ফেলা যেত, তাহলেই আমি হাঁঁপ ছেড়ে বাঁচি। ভীষণ তাড়া করে, কিছু মুখ, মুখের মতন স্মৃতি। কিছু গান শুনতে মন চায়, পরক্ষণে ফের মন বারণ করে। ইদানীং খুবই কমই রাত জাগি, মোবাইলের এলার্ম বেজে ওঠার আগে সকালের ঘুম ভেঙ্গে যায়, ঘুমের ভিতরে এলোমেলো সারাদিনের কীর্তিকলাপ যেন রিপিট হয়। শরীরটাও ভালো নেই প্রায় দুমাসের চেয়েও বেশি সময় ধরে বুকের উভয় পাশে ব্যথা করায়, পিঠ ব্যথা করায়, এখানে ডাক্তার দেখিয়েছি, প্রাইম হসপিটালের ড. বিজয় কৃষ্ণ দাসকে, টেস্ট করিয়েছি, তবুও কিছুতেই কিছু হয় নি বলে মনেহয়।ফের দেখালাম, তিনি আরও কয়েকটা ওষুধ চালিয়ে যেতে বললেন। ঘুমের, গ্যাস্ট্রিকের, আর প্রেসারের ওষুধ।প্রেসারের ওষুধ প্রথম দেখেই খাই নি, ভাবলাম প্রেসার এমনিতেই কন্ট্রোলে চলে যাবে, এত অল্প বয়সে খাওয়া ঠিক হবে না সে জন্য।ঘুমের ওষুধটা খেতাম, ঘুমের ওষুধটা ঢাকার পিজি হাসপাতালের ড, শামীম আহমেদকে দেখানোর পর তিনি দিয়েছিলেন, ড. বিজয় কৃষ্ণ দাস সেই ওষুধটাকেও কন্টিনিউ করতে বললেন, এখন ঘুমের ওষুধটাও খাই না, এই বয়সে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমানো অভ্যাস করলে পরে সমস্যা হবে বিধায় এখন মাঝে মাঝে খাই।তবে বুকের ব্যথা, আর পিঠের ব্যথা অনেকটাই কমেছে, কিন্তু ব্যথাটা রয়ে গেছে। যে বাসায় আছি এখন, মাস্টার পাড়া, জাহানারা প্লাজা, এখানে তীব্র পানি সংকট, ভীষণ রকমের দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি, শরীর চুলকায়। ভালো পানি দুবার আসে, সকালে আর রাতে, যদিও এ রুটিনেও নিয়ম করে পানি আসে না। এখানে ভীষণ রকম ভয় হয়, হাউজিংয়ের বালুর মাঠে প্রায় নিয়ম করে চক্কর দিই, বিকালে কিংবা রাতে, ভালো লাগে, ভীষণ ভালো লাগে। গরম-বৃষ্টি আর রাস্তা, খাবার হোটেল, ফার্মেসি, হাসপাতাল আমার নিকটতম আত্মীয়, আমার জীবনের স্বজন...

বিষাদ আব্দু্ল্লাহ
২৮/৭/২০১৯, রোববার, সকালবেলা।
মাস্টারপাড়া, জাহানারা প্লাজা, মাইজদি, নোয়াখালী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন