Ads

মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০

বিষাদ আব্দুল্লাহ’র ৫ কবিতা



স্মৃতির বদল নেই

ছায়াদের গল্প বলি শুনতে চাইবে কে!
শ্রোতারাও ক্লান্ত, অনীহায় ভোগে কিংবা ভান ধরে।
কারণ তারা ভাবে
বাস্তবতাই মোক্ষম অস্ত্র, ছায়ার গল্প নিছক শ্রবণ সুখ!
ফিরে আসি নিজের ভিতর
নিজেকে শোনাই, বলি শোন রে বিষাদ,
ছায়ারা অবিকৃত, বদল নেই
অজস্র ছায়া রক্তের কায়া’য়
রোদের বিরতিতে উঁকি দেয়
তখন মনকে বাজাই,
চোখের ভিতর জলের ফোয়ারা আটকে দিবার খেলায় দু’হাত ব্যতিব্যস্ত…
ছায়াদের লীন হওয়া, ফের উঁকি দেওয়া
অচতেন ঘুমের মতোন সত্য…

ঈশ্বরগণ তামাশা দ্যাখেন
একটি কাক এক ফোঁটা জলবিন্দু নিয়ে এই তাপদাহে উড়ে যাচ্ছে
জীবন ছুটে গ্যালো একবিন্দু জলের জন্যে
ঈশ্বরদের বেলেল্লাপনা আর বারুদের ঘ্রাণ নিতে নিতে
প্রকৃতি বমি করে দিচ্ছে
মানুষের গালের ভিতর মুখের ভিতর শরীরের ওপর
প্রার্থনায় মগ্ন প্রাণগুলো
অস্তিত্বের তাগিদে সেজদারত
রাজপথ ঠিক কোন দিকে যে পথ শেষে প্রাণের স্নিগ্ধ নীড় মিলে
জানেনা চোখে দেখা ঘুমন্ত প্রাণগুলো…
মানুষের মগজে ঢুকে নীরব খুনি ঈশ্বরগণ তামাশা দ্যাখেন শূন্যে…

শহরে কোন চাঁদ নেই

শহরের দালানগুলো সামরিক কায়দায় চাঁদটাকে ঘিরে রাখলো
আমার কিচ্ছু করার নাই!
পৃথিবী তার নতুন-নতুন প্রভুদের দাসত্ব স্বীকার করে নিলো
তুমি তুলনারহিত উপমাহীন, প্রিয়তমা…
আমার কিচ্ছু করার নাই!

নিকষ দ্যুতি

পরাবাস্তব জীবন, বড় বিস্তৃত
সীমারেখা নেই-
সংসারের অনুগল্পগুলো দীর্ঘায়িত হয়ে ওঠে পরাবাস্তব দুনিয়ায়-
আলো গুটিয়ে যায় কেঁচোর শরীরের মতন
অন্ধকারই অর্থবহ ঠিক আলোর সমান
তাঁরও দ্যুতি আছে, নিকষ দ্যুতি
অধুনা, নিজীর্ব দ্যুতিকেই নারী ভাবি ইদানীংকাল
তাদের সঙ্গ নিছক দু:খ নয়, কামুক আনন্দও বটে
সংসর্গের মৈথুনে গুচ্ছ গুচ্ছ রাত্রি অলংকৃত হয়
বাঁচার জন্য যে প্রাণ সজীবতা ফিরে পায় সে তো
নিকষ দ্যুতিরই আর্শীবাদ
মানুষের ঘামে প্রতিদিনের জন্মানো মানুষগল্পগুলো
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে নিকষ দ্যুতিরই মৃত্তিকায়…

রাতের নগর

রাতের নগর
সোডিয়াম দ্যুতি জল ছিটানো খেলা খেলছে
অধরা প্রভুদের প্রার্থনালয়ে ছুটে যাচ্ছে নিয়মে বাধা গাড়ি
চালকদের চোখগুলো ঘুমে কাতরাচ্ছে
বসন্ত ধুলি’র কারসাজিতে স্তনাচ্ছাদিত ওড়না
কেঁপে-কেঁপে নিশানা ঠিক করে দেয়
গাঢ় সজ্জার মুখায়ব, চোখবলা ভাষা, প্রগাঢ় রঙের ঠোঁটের ডাক
রাত ছিড়ে নিচ্ছে
আজ।
কামুক আসেনি এ নিশি ছড়ানো রাজপথের কোলে
কিংবা কোন কালো গ্লাসের গাড়ি
স্তন খুবলে নেয়নি
কোথা থেকে অভিজাত রেষ্টুরেন্টের খাবার
জিভে জল নিয়ে আসে
আর কুকুরের মতন লালা ঝরছে…
জঠর জ্বলছে…
postman.website- প্রকাশিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন