Ads

রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

নভেম্বরে যা খোঁজেছি তা দেখতে কবিতার মতো-বিষাদ আব্দুল্লাহ

ছবি ধারক: আব্দুল্লাহ আল মামুন

পরজীবীর ভাবনা
বুকে কান্নার বাজনা
ঢোলের মতন নয়,
বিষন্ন সন্ধ্যায় আজানের সুরে ভয়াবহ ভয়ে বেহুদা কেঁপে উঠি! তার মতোন?
অন্য পৃথিবীর বাতাসের হু হু করা সুরের মত?
আমার দিনগুলো লেজগুটিয়ে ঠোঁট দিয়ে কানে সুড়সুড়ি দেয়
বুকের চাতাল ভেঙে...
আগামীর প্রতিটি কান্নার শব্দ অন্যরকম বাজনার মত হবে
বুকমঞ্চে প্রাথমিক রিহার্সাল চলছে বোধহয়
আমি তবে মানুষ!
কারণ মানু্ষেরই তীব্র সহ্য ক্ষমতা...

১৪.১১.২০১৭, ঢাকা।

সচল পয়সা
রোজ সচল পয়সার মতো ঘুরতে থাকি, ঘুরি
হাত বদল হতে হতে টাকার থলের কোণে গোরথা খেয়ে জমা হই
একদিন যে লোকাল বাস কন্ট্রাক্টর সচল পয়সাকে
অচল পয়সা গণ্য করে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলো
মৌচাক মোড়ে
এখনো বুকের ভিতর তার শব্দে কেঁপে উঠি

নিয়তি না ভাগ্য না পরিশ্রম!
এ ত্রয়ী শব্দের ভিতর মানুষের সমগ্র জীবন!
এইভাবে হাতে হাতে ঘুরি, কারণ আমি (অ)মানুষ!

১১.১১.২০১৭, ঢাকা।

কান্নার এন্টিবায়োটিক
অকারণবশত( কারণ?) নিজেরই প্রস্ফুটিত সাতাশবছরের ভ্রণকে গালি দিলাম, ঠোঁট কাঁপলো না। জিহবাটা যখন ক্ষতবিক্ষত অথবা-
আজকাল আর নিয়ন্ত্রণে নেই জিহ্বার আস্ফালন। তখন; মন কি আর নিয়ন্ত্রিত ঘড়ি? যা-হ ছুঁড়ে দিলাম
'মাগির হোত'
জানি, এ তা সত্য নয়, বিষপোড়ার জ্বালা'র কথন
যার বাহক অবচেতন আমি। অন্তর্জালে গৃহকর্তার মাগীদের সাথে লুইচ্ছামীর বাক্যগুলো
লুকিয়ে লুকিয়ে দৈনিক পড়তে পড়তে মনোদাবানলের মুখ হঠাৎ খুলে যায়, ছুঁড়ে দেই সভ্যতার গতানুগতিক গালিকাব্য, যা কান্নার এন্টিবায়োটিক!
সামাজিক দেয়ালজুড়ে যে সম্মানের দেয়ালচিত্র টাঙানো গৃহকর্তার! যদি যমজীবাণু শ্যাওলা চিত্রের বুক খেয়ে ফেলে ! ভাবতে ভাবতে কেঁচোর মত গুটিয়ে যাই!
কর্মক্ষম ভ্রুণটি আমার যখন ঘাড়ে বিষফোঁড়া!
এতকাল কুড়ে খায় আমাকে
তাকে গালি দিলে, সমস্ত শান্তি পাই (পাই কি?) যা কান্নার চেয়ে উত্তম! অথচ আমি কাঁদতেই তো চাই !

সন্ধ্যাবেলা
৫.১১.২০১৭,
চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা

সুন্দর ভয়
সে আসছে জেনে ভয় জাগে, কারণ আসলেই সমস্ত রাত লুট হয়
সকাল যায় দুপুরের গর্ভে এবং ঘাপটি মেরে সিগারেটের ধোয়ায়
ছিনিয়ে নেয়া ধনের গল্প খুটে খুটে দেখি
অথবা ছুঁড়েও ফেলে দেই কখনো কখনো
হৃদয়ের স্পর্ধা ঈশ্বরের মতো হয়ে ওঠে
জগত অত্যন্ত তুচ্ছ এ-সব ভাবার সাহস দেখায়
রক্ত-কান্না দিয়ে স্নান সারে সে,
শহরের কুড়িয়ে নেওয়া কবিতা দিয়ে এক্কা-দুক্কা খেলে
আর আমি টের পেয়ে পালাই শুধুই পালাই
অনেকটা কৈশোরে মুসলমানি করার ভয়ে
যেভাবে দৌড়াতাম দিক-বেদিক
যেভাবে পানিতে ডুব মেরে এক জায়গা থেকে অন্যত্রে
জলের ভিতরে দৌড়াতাম
তাঁর গভীর উপস্থিতির ফলে
রুহু কোন কথাই শোনে না...
২৪.১১.২০১৭, ঢাকা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন