সম্ভবত ২০১৮ সাল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চিহ্নমেলায় গিয়েছিলাম বন্ধু কবি ও অনুবাদক কায়েস সৈয়দের সাথে। তো আমাদের জন্য যে রুম বরাদ্ধ হয়েছিল। সে রুমে কবিদের ধূমপান আর আড্ডায় রীতিমত গরম হয়ে উঠেছিল আশপাশ। কবি সালেহীন বিপ্লব, কায়েস, কবি নিখিল নওশাদসহ আরও অনেকে ছিল। নাম মনে নেই এই এমুহূর্ত। কায়েস সৈয়দের মনে থাকতে পারে।যাহোক, সমসাময়িক ভাবনা থেকে শুরু রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দসহ হালের যত লেখক-কবি আছে প্রায় সবাইর সাহিত্যকর্মসহ বিবিধ বিষয় নিয়ে জম্পেশ রমরমা উঠে উঠল আড্ডা।এসব প্রসঙ্গের মধ্যে হুট করে একজন কবি নাম মনে পড়ছে না এ মুহূর্তে, তিনি ছন্দের আলোচনা তুললেন। ছন্দ নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলল। আমি বললাম, ছন্দ জানা জরুরি মানা জরুরি না। আমি মনেকরি কবিতায় মাতাব্বরির প্রয়োজন নাই।এ ছন্দ জিনিসটা না আমার মাথায় কোনদিনই ঢুকে নি, মানে কোনদিনই ঢুকাতে পারিনি। চেষ্টা করেছি মাথায় ঢুকে না। পড়ি, এখনো পড়েই চলেছি কিন্তু এই পেয়াজের মাথাওয়ালা মগজে ঢুকে না। পড়ি তবে ছন্দ নিয়া সময় নষ্ট করি না। সেদিন সিগারেট টানতে টানতে একটা কথায় বলেছিলাম, কবিতার লেখার সময় শুধু আমি হৃদয়ের ডাক শুনি, হৃদয়কে প্রাধান্য দিই, যুক্তি ও না, শুধু হৃদয়ের কথা শুনি। আমি মনে করি, মনই একটা ছন্দ। আর কবিতা লেখার সময় মন আমাকে দিয়ে নাম না জানা ছন্দ লিখে নেয়, কোন না কোন প্রচলিত ছন্দে পড়ে যায়। এসব কথায় ঐকবি বেরাজ এবং হতাশ হয়েছিলেন। আমার এ কথার সাথে রুমে আড্ডার কবিদের অনেকেরই বোধহয় সম্মতি ছিল। বিশেষ করে, নিখিল নওশাদের।ছন্দ ছাড়া কবিতা হয় না, ছন্দ ছাড়া আসলে দুনিয়ায় কিছুই হয় না। আপনি খাবেন-দাবেন, সেক্স করবেন। চুরি-ডাকাতি করবেন ইত্যাদি ইত্যাদি। সব কিছুতেই কিন্তু ছন্দ আছে। আর সেই ছন্দ মনই ঠিক করে নেয়। তার মানে হল, যখন আপনি কবিতা লিখছেন তা কোন না কোন ছন্দের মধ্যে পড়বেই।
ছন্দ বিশ্বাসী কবি ভাইটা দেখি একদিন আমাকে আনফ্রেণ্ড করে দিলেন। বোধহয় তার মনে হয়েছিল, এদের মধ্যে কেউ কেউ মেধাহীন, অকবি। তাঁর নিজেকে তখন বোধহয় মনে হয়েছিল তিনি কবি। আজ কেন যেন ওই আড্ডাটার কথা মনে পড়ল। কেন মনে পড়ল জানি না!৭.১০.২০২১, বৃহ:প্রাইম হাসপাতাল, মাইজদি।
Ads
মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০২১
ছন্দ ছাড়া আসলে কি হয়!
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন